|
|
|
|
বেদিক-কাণ্ডে চার্জ গঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বেদিক ভিলেজ-কাণ্ডে মালিক রাজকিশোর মোদি ও ভিলেজের কর্মী-সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ ফ্রেম) করল বারাসত আদালত। খুন, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। শুক্রবার আদালত জানায়, ২৫ জুলাই থেকে ৪ দিন মামলার শুনানি চলবে। মামলায় দেরি প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন সরকারি কৌঁসুলি।
এ দিন আদালতে মোদি, ভিলেজের প্রোজেক্ট ম্যানেজার বিপ্লব বিশ্বাস, গফ্ফর আলি-সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ আনা হয়। আরও এক অভিযুক্ত কেলোবাবু খুন হয়ে যাওয়ায় তার নাম বাদ গিয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে গফ্ফর জেলে, বাকিরা জামিনে আছেন। এ দিন মোদি, বিপ্লব-সহ সব অভিযুক্তই ছিলেন আদালতে।
তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মধুসূদন দত্তের এজলাসে চার্জ ফ্রেমের পরে সরকারি কৌঁসুলি দুর্গাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের টালবাহানা ও গাফিলতির জন্যই এই মামলায় এত দেরি হল।”
আদালতের আনা ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯-এর ২৩ অগস্ট রাজারহাট থানার শিখরপুরে একটি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধে। সেখানে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। তাতে আমিরুল সর্দার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরে দুষ্কৃতীরা বেদিক ভিলেজের মধ্যে আশ্রয় নিলে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। পরবর্তী কালে বেদিক ভিলেজের ভিতর থেকে দফায় দফায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ভিলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোর করে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগও রয়েছে। এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতেই মোদি-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে ওই সকল ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|