ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার বার্লে |
ভারতে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হলেন এ পিটার বার্লে। আগের রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমার সম্প্রতি ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বার্লেই কাজ চালাবেন। বাংলা ভাষায় স্বচ্ছন্দ বার্লে এর আগেও ২০০৯-এর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এই পদ (‘শার্জ দ’ফেয়ার’) সামলেছেন। ৬৯ বছর বয়সী বার্লের নিয়োগের খবর জানাতে গিয়ে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বের কথা বলেছে মার্কিন প্রশাসন। দক্ষিণ এশিয়ায় বার্লের দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইনের দূতাবাসে ছিলেন বার্লে। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, নেপালি ও সিংহলি ভাষায় দখল রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। কর্মদক্ষতার জন্য প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের কাছ থেকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মানও।
|
দুর্নীতি নিয়ে সতর্কবার্তা চিনা প্রেসিডেন্টের |
দুর্নীতি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থন ও বিশ্বাস নষ্ট করে দেবে। পার্টির ৯০তম প্রতিষ্ঠা দিবসে তাই দলীয় নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। তাঁর বক্তব্য, ক্ষমতার উৎস সাধারণ মানুষ। তাই কয়েক জনের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্ষমতাকে ব্যবহার করা যাবে না। ২০১২ সালে নতুন প্রজন্মের নেতাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা জিনতাও এবং প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই দীর্ঘ এবং কঠিন হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জিনতাও। চিনে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি শোনা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। জিনতাও বলেছেন, তাঁরা অনেক বিবেচনার পরে সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চান। সংস্কার হলেও অদূর ভবিষ্যতে চিনে বহুদলীয় গণতন্ত্র স্থাপনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। উল্টে সেনাবাহিনীর উপরে পার্টির একচ্ছত্র দখলের পথ থেকে যে চিনা সরকার আদৌ সরছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, চিনের প্রয়োজন উন্নয়ন। উন্নয়ন করতে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট যে প্রচলিত ব্যবস্থা থেকে চিনের সরে আসার সম্ভাবনা নেই।
|
গৃহবন্দিত্ব ঘুচল আইএমএফ কর্তার |
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আই এম এফ) প্রাক্তন প্রধান দোমিনিক স্ত্রাউস-কানকে গৃহবন্দিত্ব থেকে রেহাই দিল নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। যে মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে এ দিন জানান সরকারি আইনজীবীরাই। তাঁরা এ-ও বলেন, মামলাটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কানকে গৃহবন্দিত্ব থেকে রেহাই দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেননি তাঁরা। মে মাসে নিউ ইয়র্কের এক হোটেলের পরিচারিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে কানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। |