|
|
|
|
মুদ্রাস্ফীতি ছাড়াল ৯% |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মূলত ফল, শিল্পে উৎপাদিত পণ্য ও পেট্রোলের চড়া দামের জেরে ফের ঊর্ধ্বমুখী সার্বিক মুদ্রাস্ফীতির হার। মে মাসে তা ৯.০৬ শতাংশ ছোঁয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতির পর্যালোচনায় আর এক দফা সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিতই দিয়েছে। বৃহস্পতিবারই ওই ঋণনীতি পেশ করবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, “দেশের এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপর আমরা কড়া নজর রাখছি। দাম কমাতে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।” প্রণববাবু অবশ্য কিছুটা আশ্বাসের সুরে বলেন, ২০১০ সালের মে মাসের ১০.৪৮ শতাংশের চেয়ে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতির এই হার অনেকটাই কম।”
মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে মুদ্রাস্ফীতি এক লাফে এপ্রিলের ৮.৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ৯.০৬ শতাংশে। মার্চে অবশ্য তা ছিল ৮.৯৮ শতাংশে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার আর্থিক স্থিতি সংক্রান্ত সমীক্ষা ‘ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট’-এ জানিয়েছে, আগামী মাসগুলিতে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতির উপর চাপ থাকবে। বিশ্ব জুড়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা, বিশেষ করে তেলের চড়া দাম এবং সারা দেশে ঠিক সময়ে বর্ষা আসে কি না, তার উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও সমীক্ষার মুখবন্ধে বলেছেন, এই সমস্ত ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই আগামী মাসগুলিকে মুদ্রাস্ফীতিকে বাগে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, রয়টার্সের এক সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার রেপো রেট (যে হারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে রেপো রেট এখনকার ৭.২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৭.৫০ শতাংশ। তবে চড়া সুদের হার যে আর্থিক বৃদ্ধিকে টেনে নামাচ্ছে, তা ওই সমীক্ষায় কবুল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন বলেছেন, “মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান অত্যন্ত ‘অস্বস্তিকর’। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন আরও কড়া ব্যবস্থা। এর জন্য মুদ্রা ও কর সংক্রান্ত নীতি আরও সুষ্ঠু ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। |
|
|
 |
|
|