অপরাধের সাজা পেয়ে বর্তমানে জেলে। কিন্তু মনে ইচ্ছা ফুটফুটে এক শিশুর বাবা হওয়ার। আর বোধহয় এই ইচ্ছাকে অবাস্তব বলা যায় না। ব্রিটেনের এক জেলে এক কয়েদি এমনটাই চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল তিনি জেলে থাকাকালীনই তাঁর সঙ্গিনী কৃত্রিম ভাবে গর্ভে ধারণ করুন তাঁর সন্তান। তাঁর শুক্রাণু সংগ্রহ করে যদি তা দিয়ে কৃত্রিম ভাবে নিষিক্ত করা যায় সঙ্গিনীর ডিম্বাণুকে, তা হলেই সম্ভব তাঁর ইচ্ছাপূরণ। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে তিনি টেনে এনেছিলেন ইউরোপীয় আইনের প্রসঙ্গ। সেই আইনে কয়েদিদের পারিবারিক জীবনযাপনের অধিকার স্বীকৃত।
ব্রিটেনের বিচার সচিব কেনেথ ক্লার্ক আজ তাঁর আর্জি মেনে নিয়েছেন। মানবাধিকার আইনের ৮ নম্বর ধারার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অন্য বন্দিরাও এই সুযোগ পাওয়ার আবেদন করতে পারেন। তবে কাউকেই চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে না। এর আগেও ১৬ জন জেলে থেকেই বাবা হতে আর্জি জানিয়েছিলেন। সকলেরই অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।
|
পরপর দু’টি বোমা বিস্ফোরণে পাকিস্তানে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক জন সাংবাদিকও আছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। পুলিশ জানিয়েছে, পেশোয়ারের খাইবার সুপার মার্কেটে কাল রাতে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। তার তীব্রতা খুব একটা বেশি ছিল না। বোমাটি একটি হোটেলের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা ছিল। বিস্ফোরণের পরেই বিস্ফোরণস্থল দেখতে প্রচুর লোক জমায়েত হন। এর পর সেই ভিড়ের মধ্যেই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। |
সমুদ্র থেকে লাদেনের দেহ খুঁজে বার করতে চান এক মার্কিন সাঁতারু। ৫৯ বছরের বিল ওয়ারেন সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। গত ২ মে লাদেনকে মারার পরে তাঁর দেহ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয় মার্কিন বাহিনী। ওয়ারেন বলেছেন, “আমি আমার দেশ আমেরিকাকে ভালবাসি। তাই আমি সত্য জানতে চাই।” তাঁর রুশ বান্ধবীর কাছ থেকে বিল জেনেছেন, ওখানে অনেকে লাদেনের মৃত্যুর খবর বিশ্বাসই করেন না। বিল নিজেও তাঁর সরকার ও প্রেসিডেন্ট ওবামাকে বিশ্বাস করেন না। সেই কারণেই সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তিনি সমুদ্রে নেমে লাদেনের মৃতদেহ খুঁজে বার করতে চান। উন্নত মানের জাহাজ নিয়ে তিনি এই অভিযানে নামছেন। এতে প্রায় ৪ লক্ষ ডলার খরচ হবে।
|
ইসলামাবাদ যতই অস্বীকার করুক না কেন, লস্কর-ঘনিষ্ঠ ডেভিড কোলম্যান হেডলি কিন্তু ২৬/১১-র পিছনে আইএসআইয়ের ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত থাকার কথাই বলেছে। ২৬/১১-র হামলার ছক কষার জন্য হেডলিকে আইএসআই বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও শিকাগো আদালতে জানায় সে। লাহৌরের একটি বাড়িতে আইএসআই কর্তারা তার সঙ্গে বহু বার বৈঠকও করেছিলেন। হেডলি জানায়, গোপনে নজরদারি চালানোর জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল লস্কর। কিন্তু লস্করের সেই পাঠে খুশি ছিলেন না আইএসআইয়ের মেজর ইকবাল। সে জন্যই ফের নতুন করে হেডলিকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন, মেজর ইকবাল এবং আইএসআইয়ের কিছু ‘নন কমিশন্ড অফিসার’ বা এনসিও। হেডলির কথায়, “মেজর ইকবালের সঙ্গে আমি বহু বার বৈঠক করি। উনি আমাকে বুঝিয়ে দেন, লস্কর আমাকে ঠিক কী কাজ করতে বলেছে।” |