উগার ‘অন্তর্ধান রহস্য’ আরও জটিল
শহরে যুব বিশ্বকাপের ইঙ্গিত আজ
গা ওপারার ‘অন্তর্ধান রহস্য’ প্রতিদিন আরও জটিল হচ্ছে। কবে তিনি নাইজিরিয়া থেকে শহরে ফিরবেন তা বলতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল সচিবও। ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে ‘টোটকা’ চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরবেন তাঁদের নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উগা বৃহস্পতিবার অনুশীলনে না আসায় ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। ডার্বিতে তাকে দলেও রাখছেন না আর্মান্দো কোলাসো।
ডার্বির ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার দুই প্রধানের কর্তারা পাশাপাশি বসে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে সমর্থকদের সংযত ও শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়ার আবেদন করার কিছুক্ষণ পরেই উগাকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারকে। কল্যাণবাবু বলে দেন, “উগা এখনও আসেনি। কবে আসবে তা-ও জানি না। দু’তিন দিনের মধ্যে হয়তো আসবে। যদি না আসে তাতেও সমস্যা নেই। ও তো এ বার অনেক ম্যাচই খেলেনি। তাতে কি ইস্টবেঙ্গল জেতেনি?” কিন্তু যে ভাবে আপনার দলের স্টপার নাইজিরিয়া চলে গিয়েছে সেটা কি শৃঙ্খলাভঙ্গের মধ্যে পড়ে? ও ফিরলে কি শো-কজ করবেন? এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে লাল-হলুদ সচিব উল্টে এক সাংবাদিকের কাছে জানতে চান, ‘‘শৃঙ্খলা বানানটা জানেন তো?” সঙ্গে যোগ করেন, “আর কোনটা শৃঙ্খলা ভাঙা সেটা মিডিয়া ঠিক করবে না! আমরা ঠিক করব। উগা আগে ফিরুক, তার পর যা করার করব।” তবে সচিবের কথাতেই ইঙ্গিত, হঠাৎ-ই দেশে চলে যাওয়া উগাকে নিয়ে যে বিতর্কই উঠুক তাঁকে নিয়ে নরম মনোভাব নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
উগা বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে বাংলার ফুটবল মহল অবশ্য তাকিয়ে অন্য দিকে। ভারতের মাটিতে তিন বছর পরের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ কলকাতা পাবে কি না তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে আজ, বৃহস্পতিবার। আজ সকালেই যুবভারতীর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসছেন ফিফার প্রতিনিধিরা। যুবভারতী ছাড়াও সাইয়ের মাঠ ঘুরে দেখবেন তাঁরা। দেশের মোট আটটি মাঠ ঘুরে দেখছে ফিফার প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে ছয়টি মাঠকে বিশ্বকাপের খেলার জন্য বাছবেন। ফিফা প্রতিনিধিদের খুশি করতে সাজসাজ রব সল্টলেক স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন ঘরে রং ও পরিষ্কার করার কাজ চলছে। যুবভারতীর অ্যাস্ট্রো টার্ফের অবস্থা খুব খারাপ। যা খবর তাতে, ফিফার প্রতিনিধিদলকে জানানো হবে, টার্ফ তুলে ফেলে ঘাসের মাঠ করে ফেলা হবে তিন বছরের মধ্যেই।
ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে দুই প্রধান দলের কর্তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছিল যে, ফিফার প্রতিনিধিদল ডার্বি ম্যাচ দেখবেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, “শনিবার সকালেই শহর ছাড়বেন ফিফার প্রতিনিধিরা। ডার্বি ওঁরা দেখবেন না।” সাংবাদিক সম্মেলনে লাল-হলুদের প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত এবং সচিব কল্যাণ মজুমদার উপস্থিত থাকলেও মোহনবাগানের তরফে বড় কর্তারা কেউ ছিলেন না। ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধেশ্যাম অগ্রবাল এবং টিম ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় প্রতিবারই ডার্বিতে নানা গণ্ডগোল হয়। সমর্থকরা বাজি পোড়ানোয় বা কাগজের মশাল জ্বালানোয় জরিমানা দিতে হয় ক্লাবকে। শনিবারের আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে সে জন্যই এ দিন আবেদন করেন দুই প্রধানের কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণবাবুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাগানের সঞ্জয়বাবু বলে দেন, “খেলাটা নব্বই মিনিটের। যে হারুক বা যে-ই জিতুক, একানব্বই মিনিট থেকে আমরা আবার বন্ধু। আমরা সবাই চাই খেলাটা সুষ্ঠু ভাবে হোক। এর আগে কখনও এ রকম হয়নি। এটা দু’দলের পক্ষেই বড় ঘটনা।” দেখার, শেষ পর্যন্ত বাঙালির আবেগের এই ম্যাচ শান্তিতে শেষ হয় কি না?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.